ভুল করা ঠেকাবে টুপি!
সমকাল ডেস্ক
মানুষমাত্রই ভুল করে। অনেক সময় বুঝতে পারা যায় যে, ভুল হচ্ছে। তার পরও সেটা এড়ানো যায় না। আবার নতুন কিছু শিখতে গেলে অধিকাংশ মানুষেরই একটু কষ্ট হয়। নতুন একটা বিষয়ে মাথা খাটানো কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। এই সমস্যা কাটাতে বিজ্ঞানীরা এমন এক টুপি তৈরি করেছেন, যা কমিয়ে দেবে এই ভুলের মাত্রা। সে সঙ্গে বাড়াবে নতুন কিছু শেখার দক্ষতাও। এই অনন্য
যন্ত্রটির চিন্তা সর্বপ্রথম এসেছিল ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক জিওফ উডম্যান এবং তার পিএইচডি ছাত্র রবার্ট রেইনহার্ট-এর মাথায়। এই চিন্তাটুপি মাথায় পরার পর মস্তিষ্কে খুব মৃদু মাত্রায় বৈদ্যুতিক শক দেয়। এ দুই গবেষক দাবি করেছেন, মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট অংশে নির্দিষ্ট মাত্রায় বৈদ্যুতিক শক দিলে তা নতুন কিছু শেখার দক্ষতা যেমন বাড়ায়, তেমনি কঠিন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্তটি নিতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, আমরা যখন কোনো একটি বিষয়ে ভুল করি বা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি তার মিলিসেকেন্ড আগে মস্তিষ্কের মিডিয়াল ফ্রন্টাল কর্টেক্সে একটি ঋণাত্মক ভোল্টেজের উদ্ভব হয়। উডম্যান এবং রেইনহার্ট গবেষণা করে দেখেছেন, মস্তিষ্কের একটি অংশ একই ভুল যাতে আর না হয় সে জন্য কাজ করে। পরবর্তীকালে তারা মস্তিষ্কের এই বৈদ্যুতিক সংকেত ব্যবহার করে ভুলের পরিমাণ কমিয়ে আনা যায় কিনা তা নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। এ জন্য তারা একটি স্থিতিস্থাপক টুপি তৈরি করেন। টুপিতে কতগুলো ইলেকট্রোড বসানো থাকে। এই টুপি থুতনি এবং মাথার ওপর বৈদ্যুতিক প্রবাহ প্রয়োগ করে। টুপি নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে তা কয়েকজন ব্যক্তির মাথায় পরানো হয় এবং মৃদু মাত্রার বৈদ্যুতিক প্রবাহ চালনা করা হয়। প্রায় ৭৫ শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, টুপি পরা ব্যক্তি কোনো নতুন একটি বিষয় দ্রুততার সঙ্গে শিখে ফেলার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখিয়েছেন। এই গবেষণা শেষে উচ্ছ্বসিত উডম্যান বলেন, মস্তিষ্কে এই বৈদ্যুতিক প্রভাব প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকবে। বৈমানিক এবং শল্য চিকিৎসকদের জন্য এ টুপি খুব কাজে দেবে। আর সবচেয়ে বেশি ভালো ফল পাবেন মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্তরা। অডিটি সেন্ট্রাল অবলম্বনে।
No comments:
Post a Comment