Thursday, March 5, 2015

কাপড়ের টুপি তৈরী: প্রস্তুতপ্রণালী, বাজারজাতকরণ, প্রশিক্ষন প্রদানকারী সংস্থা ও কেস স্টাডি

কাপড়ের টুপি তৈরী: প্রস্তুতপ্রণালী, বাজারজাতকরণ, প্রশিক্ষন প্রদানকারী সংস্থা ও কেস স্টাডি


সম্ভাব্য পুঁজি:  

২০০০০ টাকা থেকে ৫০০০০ টাকা পর্যন্ত
ব্যাংকঃ
সোনালী ব্যাংকঃ http://www.sonalibank.com.bd/
জনতা ব্যাংকঃ http://www.janatabank-bd.com/
রূপালী ব্যাংকঃ http://www.rupalibank.org/rblnew/
অগ্রণী ব্যাংকঃ http://www.agranibank.org/
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকঃ www.krishibank.org.bd/
এনজিও
আশাঃ http://asa.org.bd/
গ্রামীণ ব্যাংকঃ http://www.grameen-info.org/
ব্রাকঃ http://www.brac.net/
প্রশিকাঃ http://www.proshika.org/
বাজারজাতকরণ
মুসলমান পুরুষ এর ভোক্তা। ঢাকার বায়তুল মোকাররম ও দেশের সকল বিপণি দোকানে  বিক্রি করা যায়। ইন্দোনেশিয়া ও সুদানে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই রপ্তানির সুযোগ রয়েছে।
সম্ভাব্য লাভ:   
একটি টুপি তৈরি করতে খরচ পড়ে ২০ থেকে ৫০ টাকা। বিক্রয়মূল্য ৩০ থেকে ৮০ টাকা।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
কাপড়, সুই-সুতা, কাচি, সেলাই মেশিন, ডিজাইন পেপার ও নীল।
প্রস্তুত প্রণালি
প্রথমে কাপড় টুপির সাইজ অনুযায়ী কেটে নিতে হবে। এরপর টুপির কাপড়ের ওপরের অংশে ডিজাইন পেপার বসিয়ে নীল দিয়ে ছাপ দিতে হবে। ছাপের ওপর হাতে সুই-সুতা দিয়ে কারু কাজ করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, নীলের পরিমাণ যেন বেশি না হয়। এবার কাপড় টুপির সাইজ অনুযায়ী চারদিকে সেলাই করলেই হয়ে গেল টুপি।
প্রশিক্ষণ
যোগ্যতা:    
সেলাই করা জানতে হবে।
প্রশিক্ষন প্রদানকারী সংস্থা:
ব্রাকঃ http://www.brac.net/
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরঃ www.dyd.gov.bd
বিসিকঃ http://www.bscic.gov.bd/
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরঃ http://www.dwa.gov.bd/

কিছু উল্লেখযোগ্য কেস স্টাডি
সরব হয়ে উঠেছে ভোলার নকশি টুপি পল্লী
ঈদকে সামনে রেখে ভোলার নকশি টুপি পল্লী সরব হয়ে উঠেছে। রাতদিন চলছে টুপি তৈরির কাজ। বসে থাকার বিন্দু মাত্র সময় নেই কারো। টুপির চাহিদা সারা বছর থাকলেও ঈদ মৌসুমে এ চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। টুপির এ বাড়তি চাহিদা পূরণ করতে এখন দিন-রাত পরিশ্রম করছেন কারিগরেরা। পরিবারের পুরুষ সদস্যের পাশাপাশি মেয়েরাও এখন টুপি সেলাই করে সংসারে বাড়তি আয় যোগ করছেন। এমন কি অনেক ছাত্রীও এখন লেখাপড়ার ফাঁকে অবসর সময়ে টুপি সেলাই করে বাড়তি আয় করছে।
এখানকার তৈরি টুপি দেশের চাহিদা পূরণ করে রফতানি হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। তবে, আধুনিক সুযোগ সুবিধা বঞ্চিত হওয়ার কারণে অনেকটা পিছিয়ে তারা। সরকারি আর্থিক ঋণের সুবিধা পেলে এ শিল্পে আরও প্রসার ঘটবে বলে মনে করছেন কারিগররা।
ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম ঘুরে জানা গেছে, কয়েকবছর আগেও সেখানকার বহু পরিবার আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল ছিল। অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে হতাশার মধ্যে দিন কাটাতো। কিছুতেই অভাব দূর হয়নি তাদের। তবে নকশি টুপি এবার তাদের ভাগ্য বদল করেছে।
টুপি তৈরির কয়েকজন নারী কারিগর জানান, গ্রামের স্থানীয় এজেন্ট ফিরোজ মিয়ার মাধ্যমে তারা ঝুঁকে পড়েন টুপি তৈরির কাজে। এখন তারা ঘরে বসে টুপি তৈরি করেন। একটি টুপি বিক্রি করে তারা পাচ্ছেন সাড়ে ৩শ থেকে ৪শ টাকা। মাসে যে যত বেশি টুপি করতে পারবে সে তত বেশি টাকা উপার্জন করতে পারবে এমন প্রতিযোগিতা চলছে ভোলার টুপি পল্লিতে।
কারিগররা জানান, জেলার বাপ্তা, বাংলাবাজার, দৌলতখান ও চরফ্যাশনে এখন নকশি টুপির কারিগর নারীর সংখ্যা দুই হাজার। এ সকল কারিগররা টুপি তৈরি করে স্থানীয় পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন। পাইকাররা আবার বিক্রি করেন ফেনীর টুপি পাইকারদের কাছে। সেখান থেকে সরাসরি চলে যায় কাতার, কুয়েত, ওমানসহ মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, টুপি তৈরির পল্লি ভোলার বাপ্তা গ্রাম এখন সরগরম। কারো অলস সময় কাটানোর সময় নেই। সবাই ব্যস্ত টুপি তৈরিতে। বিদেশি থান কাপড়, দেশীয় সুতা আর সুই দিয়ে নিখুঁত ডিজাইন করে নারীরা এ টুপি তৈরি করছেন।
নকশি টুপির পাইকার জাহাঙ্গীর মোল্লা বলেন, ‘প্রায় ১৫ বছর ধরে এ ব্যবসার সঙ্গে কাজ করে আসছি। আর্থিকভাবে আমি এখন অনেক স্বচ্ছল। বিদেশি নকশী টুপির ব্যাপক চাহিদা থাকায় এ পেশায় আরও অনেকের আগ্রহ বেড়েছে।’
সরকারি সাহায্য সহযোগিতা পেলে এখানকার টুপি তৈরির কারিগররা আরও বেশি আগ্রহ নিয়ে ভোলার তথা দেশের উন্নয়নের ভূমিকা পালন করবেন বলে মনে করছেন কারিগররা।


No comments:

Post a Comment